এম,এম,আর কামরুল :- সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ডিএসই এক্স ইনডেক্সটি আগের দিনের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ক্লোজ হয়েছে ৪২১২.৪৫ পয়েন্টে। নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে দশটায় ডিএসই এক্স ইনডেক্সটি ৪১৯৭.৩৯ পয়েন্টে ওপেন হয়ে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সবকটি ইনডেক্স বাড়তে থাকে। উত্থানের একপর্যায়ে বেলা ১১ টা ৩৫ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে ৪৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ডিএসই এক্স ইনডেক্সটি দিনের সর্বোচ্চ ৪২৪৩.৪১ পয়েন্টে উঠতে দেখা যায়। বেলা পৌনে ১২ টায় সেল প্রেশার বৃদ্ধি পেয়ে ইনডেক্সের যোগ হওয়া পয়েন্ট হারাতে থাকে, পাশাপাশি মার্কেটের লেনদেন স্লো হয়ে সার্বিক বাজারে মিশ্রাবস্থা বিরাজ করে। ফলে দিনশেষে আগের দিনের চেয়ে মাত্র ১৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ক্লোজ হল ৪২১২.৪৫ পয়েন্টে। ডিএসই ইনডেক্সটি টেকনিক্যাল সাপোর্ট লেভেলের অতি সন্নিকটে থাকায় আজকের মার্কেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। টেকনিক্যাল সাপোর্টের পাশাপাশি মনস্তাত্ত্বিক সাপোর্টে প্রথম ঘন্টায় ডিএসই ইনডেক্সটির ব্যাপক উত্থান হলেও আস্থার অভাবে শেষ ঘন্টায় সেই উত্থান ধরে রাখতে পারেনি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল আর ২০ মিনিট মার্কেট ওপেন থাকলে হয়তো যোগ হওয়া এই ১৫ পয়েন্টও হারিয়ে যেত। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, কোনো কারণে টানা ৪-৫ দিন পতন হলে যেদিন মার্কেট ঘুরে দু তিনদিনের হারানো পয়েন্ট একদিনেই রিকভার করে কিন্তু টানা ৫ দিনের পতনে তিনশো পয়েন্ট হারিয়ে আজকের ১৫ পয়েন্টের উত্থানে বিনিয়োগকারীরা স্বস্তি পাচ্ছেন না। সকালে ১০০ পয়েন্ট পতন হয়ে যদি বিকেলে ৫ পয়েন্টও বৃদ্ধি পেত তাহলেও ক্যান্ডেলষ্টিক বলে দিত মার্কেট পরদিন থেকে ইউটার্ন নিবে। আজ সকালে অল্প লেনদেনে ৪৭ পয়েন্টের উত্থান জোর করে ইনডেক্স উঠানোর চেস্টার কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে অন্যদিকে ৪৭ পয়েন্ট উত্থানের পর অধিকাংশ কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীরা লোকসানে থাকা সত্বেও শেষ ঘন্টায় ব্যাপক সেল প্রেশার জোর করে পতন ঘটানোর চেস্টা হয়ে থাকতে পারে। আজকের মার্কেটের মুভমেন্ট বিশ্লেষণে বলা যায়, বাজার সংশ্লিষ্টরা বাজারে গতি ফিরিয়ে আনতে প্রাণপন চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, বিপরীতে কোনো একটি অশুভ শক্তি পতন ঘটিয়ে ফায়দা লুটার চেস্টায় লিপ্ত রয়েছে। আজ ১৫ পয়েন্টের পজিটিভ টানা পতনের ইতি ঘটছে বা বিরতি দিয়েছে। আস্থা ফিরে বাজার স্বাভাবিক উত্থানে যেতে টানা তিনচারদিন পজিটিভ থাকা জরুরি। কেননা আজকের বিরতির পর আগামীকাল যদি পুনঃরায় পতন ঘটে তাহলে আস্থা ফেরার বদলে আস্থাহীনতা আরো বেড়ে যেতে পারে।
