শেয়ার ক্রয়ের পর কোনো একসময় বাধ্য হয়েই শেয়ার গুলো বিক্রি করতে হয়।নেটিং কনভার্ট, প্রফিট টেকিং, লুজার পেনিক,লস, স্টপ লস ও টাকার প্রয়োজনে আমাদের পোর্টপোলিওতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে হয়।শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে চার্টের ক্যান্ডেল ষ্টিক গুলোর সংকেত ৮০% কার্যকরী।যারা চার্ট বোঝেন তাদেরকে বাই সেলের উপর অন্য কোনো টিপস বা কৌশল শেখানোর প্রয়োজন নেই।তারা সেন্টিমেন্টাল টিপসের চেয়ে চার্টকে বেশী বিশ্বাস করে তাই চার্ট না দেখে তারা কোনো ট্রেড করবে না।একজন লোক যেমন তার ব্যবহৃত মোবাইলটা কাছে না থাকলে সে অচল ঠিক তেমনি চার্ট ছাড়া স্মার্ট ট্রেডাররা অচল।যাই হোক গত ১৭ ফেব্রুয়ারী একটি পোষ্ট দিয়ে শেয়ার ক্রয়ের বিভিন্ন টিপস নিয়ে আলোচনা করেছিলাম এবং বলেছিলাম সময় পেলে শেয়ার বিক্রয়ের উপর টিপস দিব।সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষার্তেই শেয়ার বিক্রয়ের সেন্টিমেন্টাল টিপস নিয়ে আজকের এই লেখা।গত ১৭ ফেব্রুয়ারী শেয়ার ক্রয়ের যে টিপস দিয়েছি সেই টিপসের বিপরীত প্রয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন শেয়ার বিক্রয়ের কার্যকরী সেন্টিমেন্টাল টিপস।শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা রাতে সিদ্বান্ত নেয় একটা ট্রেডিং আওয়ারে করে উল্টোটা।এটা তাৎক্ষনিক ইমোশনালের কারনেই হয়ে থাকে।তাই শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ইমোশনাল,লোভ এবং পেনিক পরিহার করতে হবে।অধিকাংশ বিনিয়োগকারী শেয়ার ক্রয়ের পর প্রফিট দেখে সাময়ীক আনন্দিত হয় ঠিকই কিন্তু শেয়ারের দর যত বাড়ে লোভের কারনে তার চাহিদাও বাড়তে থাকে।ফলে সে আর প্রফিট ঘরে তুলতে পারে না।পড়ে অধৈর্য্য হয়ে প্রফিটে থাকা শেয়ার লসেই বিক্রি করতে বাধ্য হয়।জেনে রাখা ভালো শেয়ার বাজারে প্রফিটের টার্গেট যত কম হবে প্রফিট করা তত সহজ হবে।প্রফিটের টার্গেট যত বেশী হবে লসের ঝুকি তত বেরে যাবে।শেয়ার ক্রয়ের টিপসে বলছিলাম বেলা ২ টার পরে ক্রয় করা ভাল কিন্তু বিক্রয়ের ক্ষেত্রে যত দ্রুত বিক্রি করবেন ততই ভাল।শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ওপেনিং প্রাইসের প্রতি নজর রাখতে হয়।যদি দেখা যায় বেলা দেড়টা পর্যন্ত সকালের ওপেনিং প্রাইস থেকে ২%-৩% বেড়ে লেনদেন হচ্ছে তাহলে সেলের জন্য আরো কিছু সময় অপেক্ষা করা যেতে পারে অর্থাৎ শেয়ারটির আপট্রেন্ড শক্তি আছে ২ টা পর্যন্ত রাখলে আরেকটু বেশী দরে বিক্রি করা যাবে।তবে যদি দেখা যায় বেলা একটা পর্যন্ত ওপেনিং প্রাইসের নীচে লেনদেন হচ্ছে তাহলে যত তারাতারি সেল দেয়া যায় ততই নিরাপদ।কারন শেয়ারটি ডাউন ট্রেন্ডের আভাস দিবে।তাই যারা চার্ট বোঝে ওই ডাউনট্রেন্ড দেখে তারা সেল দিতে থাকবে।তাছাড়া নেটিং এভারেজের সেল প্রেসার তো আছেই।তাই যে শেয়ারটি বেলা একটা পর্যন্ত ওপেনিং প্রাইসের নীচে থাকবে বেলা যত যাবে ওই শেয়ারটি ততই কমবে।শেষে ডাউন্ট্রেন্ডসিগনাল দিয়ে ক্লোজ হবে ফলে পরদিনও শেয়ারটির দর পতন হতে পারে।অনেকেই একদিনেডাবল প্রফিট করতে গিয়ে লিমিট নিয়ে আগে পছন্দের শেয়ারটি ক্রয় করে পরে হাতে থাকা শেয়ার সেল দিয়ে টাকা পরিশোধ করে।যেটাকে আমরা নেটিং বলে থাকি।নেটিংয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই চার্টের জ্ঞান থাকতে হবে।তার পরও যদি কেউ এমন নেটিং করতে চায় তাহলে যে শেয়ারটি সম্পর্কে নিশ্চিত ধারনা থাকবে যে বর্তমান রেটে শেয়ারটি কেনার সাথে সাথেই বাড়তে থাকবে এবং বিকালে কেনা দর থেকে ৪%-৫% বেড়ে ক্লোজ হবে এমন আইটেম কিনতে হবে।পাশাপাশি যে শেয়ারটি বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করবে সেটা শেষদিকে আরো বাড়বে সেই অপেক্ষায় না থেকে দেরটার আগে সেল দেয়াই ভাল।নতুবা যেটা সদ্য কিনছে সেটাও কমবে আর যেটা বিক্রি করতে চাইবে সেটা আরো কমবে।