আমাদের দেশের অধিকাংশ বিনিয়োগকারী নিউজ ট্রেডার,রিউমার ট্রেডার ও ইমোশনাল ট্রেডার।প্রত্যেকেই শর্ট টাইমে অধিক প্রফিটের আশা নিয়ে কখনো নিউজের উপর,কখনো রিউমারের উপর আবার কখনো হাই রিস্ক নিয়ে ইমোশনাল ট্রেড করে।ফলে স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা করতে গিয়ে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য আটকা পড়ে।এর মুল কারন হচ্ছে বাই সেলের সাথে ট্রেড টাইমিংয়ের সমন্বয় না হওয়া।ট্রেড টাইমিংয়ের সমন্বয় করতে পারলে বাই সিগন্যালে বাই দিয়ে যেমন শর্ট টাইমে ঘন ঘন ট্রেড করে ভাল প্রফিট করা সম্ভব তেমনি সেল সিগন্যালে সেল দিয়ে লস এড়ানো সম্ভব।আর এসব বোঝতে হলে টেকনিক্যাল এনালাইসের উপর আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।টেকনিক্যাল এনালাইস গ্রাফিক্স আপনাকে বুল্লিশ,বেয়ারিশ,ডজি ইন্ডিকেটরের মাধ্যমে সিগন্যাল দিবে কখন কোথায় বাই সেল স্টপ লস প্রয়োগ করতে হবে।যারা টেকনিক্যাল এনালাইস জানে না তারা কেউ ভলিওম,কেউ টপটেন গেইনার,কেউ টপ টেন লুজার দেখে অনুমান নির্ভর বাই দেয়।এইসব টপটেন,লুজার,গেইনার ও হাই ভলিওম বাই সেল সিগন্যাল নির্দেশ করে না।এসবের উপর নির্ভর করে বাই দিলে হতাশা ছাড়া প্রফিট দেয় না।পরে হতাশ হয়ে বলতে দেখা যায় যে, এত ভলিওম দেখে বাই দিলাম,রানিং আইটেম বাই দিলাম কিন্তু বাই দেয়ার পর শুধু কমতেই আছে।আসলে শেয়ার বাজারে যা হয় তা সবাই দেখে না আর যা হয় না তা দেখা যায়।অর্থ্যাৎ পৃথিবীতে যাই ঘটুক অন্ধ্ব লোক কখনো দেখে না।টেকনিক্যাল এনালাইস যারা জানেনা তারা এই বাজারের জন্য অন্ধ্ব।যা ঘটবে তা দেখবে না।তাই অনুমান নির্ভর নিউজ,রিউমার ও ইমোশনাল বাই সেল করে হতাশ হবে।শেয়ার বাজারে যা ঘটে তা ঠিকই দেখা যায় টেকনিক্যাল এনালাইসের গ্রাফিক্সের মাধ্যমে।তাই লস এড়িয়ে মুনাফা করতে হলে টেকনিক্যাল এনালাইসের বিকল্প নেই।গত পোষ্টে আমি শেয়ার ক্রয়ের টিপসের উপর একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম।এটা আমার গত ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে অনুমান নির্ভর টিপস।যদিও অনুমান নির্ভর পোষ্ট তাও পাঠকের কাছে ব্যাপক সারা জাগিয়েছে।যার প্রতিফলন আমি ইমেইলে শতাধিক ধন্যবাদ পেয়েছি।তবে এই টিপসগুলো টেকনিক্যাল এনালাইস যারা জানে তারা কখনো গ্রহন করবে না।কারন টেকনিক্যাল এনালাইষ্টরা মানুষের অভিজ্ঞতার টিপসের চেয়ে গ্রাফিক্সকেই বিশ্বাস করে।কারন গ্রাফিক্স আইটেমের প্রতিটা ট্রেডের গতি বিধির উপর নির্ভর করে বাই সেলের রিয়েল টাইমিং সিগন্যাল দেয়।তাই শেয়ার ক্রয়ের জনপ্রিয় টিপস শিরোনামের আগের পোষ্টটি, যারা এনালাইস জানে না তাদের জন্য লাঠি স্বরুপ হতে পারে।