দেশের শেয়ার বাজারে আজ মঙলবারও দর পতন হয়েছে।এনিয়ে পতন গড়াল টানা পঞ্চম দিনে।গত ৫ দিনের টানা পতন বিশ্লেষন করলে দেখা যায় প্রায় প্রতিদিনই বাজার একই আচরন করছে।অর্থ্যাত সকালে বাই প্রেসারে উত্তান দিয়ে শুরু হয়ে কিছুক্ষন স্বাভাবিক উঠানামা করে দিনের শেষ ভাগে সেল প্রেসারে ইনডেক্সের পতন বাড়তে থাকে।বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার কারনেই ইনডেক্সের এমন আচরন।ইনডেক্স কম্পিউটাররাইজড স্বয়ংক্রিয় ভাবে উঠানামা করে তবে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনে প্রভাবিত হয়েই উঠানামা করে তাই ইনডেক্সের অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের হতাশা ও অস্থিরতাকেই প্রকাশ করে।দরপতনের সময় বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে লস থেকে রক্ষা পেতে,দ্রুত লস রিকভার করতে ডে ট্রেডিংয়ের কৌশল নিয়ে বিভিন্ন আইটেমে ছুটা ছুটি করে থাকে।দরপতনে বিভিন্ন আইটেমে সাতার কাটা বাজারের জন্য যেমন ক্ষতিকারক তেমনি পোর্টপোলিওর জন্য বিপজ্বনক।পতন মার্কেটে লস এড়িয়ে প্রফিট করতে দক্ষতা ও সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই অস্থিরতা ও হতাশার কোনো সুফল নেই।বাজার শেষে প্রতিদিনই আমি ইনডেক্সের চার্ট এনালাইসিস করে সবাইকে পরোক্ষভাবে সতর্ক করার চেষ্টা করেছি।গত কয়দিন ধরে বলে আসছি যদি ৪৫২০ সাপোর্ট লেভেল ভেঙ্গে যায় তাহলে বাজারে আস্থাহীনতা বেড়ে যাবে এবং পরবর্তী সাপোর্ট ৪৩৮০ পয়েন্টে।দক্ষ বিনিয়োগকারীরা যখন বিনিয়োগ করে তখন সাপোর্ট লেভেল পর্যবেক্ষন করেই বিনিয়োগ করে।যদি দেখা যায় সাপোর্ট লেভেল থেকে বাজার ঘুরে গেছে তবেই তারা বাই দেয় কিন্তু যদি দেখা যায় সাপোর্ট লেভেল ভেঙ্গে গেছে তাহলে পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল পর্যন্ত পর্যবেক্ষনে থাকে।আমাদের দেশের অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা মূলত চার্টের ইন্ডিকেটরের সংকেত গুলোই বোঝেন না।বাজারের গুরুত্বপূর্ন চার্টটি না বোঝার কারনে নিজে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি উল্টাপাল্টা ট্রেড করে ইন্ডিকেটর গুলোর উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে।আমি আমার পাঠকদেরকে চার্ট বিশ্লেষক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি এরই মধ্যে নিজ প্রচেষ্টায় শতাধিক বিনিয়োগকারীকে চার্টের উপর দক্ষ করে তুলেছি।ধাপে ধাপে সবাইকেই চার্ট বোঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।চার্টের ইন্ডিকেটর গুলোর পূর্বাবাস ৭০%-৮০% মিলে যায়।তাই নিরাপদ বিনিয়োগের একমাত্র হাতিয়ার চার্ট বা টেকনিক্যাল এনালাইসিস।আজ ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ওপেন হয় 4511.97 পয়েন্টে সর্বোচ্চ উঠে 4526.5 সর্বনিন্ম নামে 4480.83 দিন শেষে 27.93 পয়েন্ট হারিয়ে ক্লোজ হয 4484.04 পয়েন্টে।লেনদেন হয়েছে 440কোটি টাকা।যদিও ইনডেক্সের পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল 4380 পয়েন্টে কিন্তু RSI 27.55 যা নিরাপদ জোনে অবস্থান করছে।তাই সাপোর্ট লেভেলে না গিয়ে শীগ্রই বাজার ঘুরে দাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।