সপ্তাহের প্রথম দিন আজ দেশের প্রধান শেয়ার বাজারের সূচক কমেছে ১৫.৩ পয়েন্ট।সপ্তাহের প্রথম দিন আর শেষ দিন সবই সমান।অর্থ্যাৎ গত ২ মাস যাবত 2/১টি ব্যতিক্রম ছাড়া প্রতিটি সপ্তাহ পতন দিয়ে শুরু হয়ে পতন দিয়েই শেষ হচ্ছে।আমি আগেও বলছি এখনও বলি মার্কেটের যে অবস্থা তাতে এই মার্কেটের উপর নির্ভর করে কেউ সংসার চালানোর কথা ভাবলে পুজি ভেঙ্গে খেতে হবে।একদিকে লসের বোঝা অন্যদিকে পুজি থেকে টাকা উত্তোলন ফলে বাজার ভাল হওয়ার আশা করতে করতে একসময় পোর্টপোলিওটাই শুন্য হয়ে যাবে।একটা সময় ছিল তখন ডে ট্রেডিং করে ২%-১০% পর্যন্ত প্রফিট করা গেছে।কিন্তু এখন মার্কেটের যে অবস্থা তাতে ডে ট্রেড তো দূরের কথা মাসের পর মাস আইটেম হোল্ড করেও প্রফিট পাওয়া দুষ্কর।বরং যত বেশী হোল্ড করে প্রফিটের আদলে লসের পরিমানটা বাড়তেই থাকে।বাজার যখন পতন শুরু হয় তখন কোনো না কোনো নিউজ এসে পতনকে আরো তরান্বিত করে।
বিনিয়োগকারীরা আশা করে যে ওই নিউজটির প্রভাব চলে গেলেই আবার বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে দেখা যাচ্ছে একটি নিউজের প্রভাব যেতে না যেতেই আরেকটি নিউজ এসে হাজির হচ্ছে এবং পতনও সাময়িক থেকে দীর্ঘ,দীর্ঘ থেকে দীর্ঘায়িত হচ্ছে।মার্কেট নিউজের উপর নির্ভর্শীল হলেও ইতিবাচক নিউজ গুলো বাজারে তেমন প্রভাব ফেলছে না কিন্তু নেতিবাচক নিউজ গুলো বাজারকে বেশী নেতিবাচক করে তুলছে।বর্তমান পতনের কারন হয়তঃ ব্যাংক এক্সপোজার লিমিটের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি ঝুলে থাকার কারনেই হয়ে থাকতে পারে। একমি ফার্মার আইপিও চলছে।সেকেন্ডারি মার্কেটে এই আইপিওরও প্রভাব পড়েছে।শেয়ার বাজার আপ ডাউন হবে এটা সবাই জানে এবং বিনিয়োগকারীরা এ বিষয়টি মেনে নিয়েই ব্যবসা করে।কিন্তু চলমান বাজারের আচরনে দেখা যাচ্ছে ইনডেক্স ১০ পয়েন্ট পতন হলে আইটেম গুলোর যে পরিমান দর পতন হয় ইনডেক্স ৫০ পয়েন্ট বৃদ্বি পেলেও সেই পতনের তুলনায় দর বাড়ে না।ফলে ইনডেক্স কমলে যেমন বিনিয়োগকারীদের লস হচ্ছে ঠিক তেমনি ইনডেক্স বাড়লেও বিনিয়োগকারীদের লাভ হচ্ছে না।অতএব বাজারের এই আচরনই বলে দিচ্ছে সোজা কথা সরল কথা সব কথার এক কথা শেয়ার ব্যবসা করে সংসার চলবে না।তাই শুধু শেয়ার ব্যবসার উপর নির্ভরশীলদের পুঁজি থাকতে অন্য পথ অবলম্বন করতে হবে।