প্রতি বছর এই দিনে যে ইস্যুটি নিয়ে শেয়ারে সাপ লুডু খেলা শুরু হয় অবশেষে সেই ব্যাংক এক্সপোজার লিমিট নামক ধংশ যজ্ঞের অবসান ঘটেছে।আশা করা যাচ্ছে আগামিকাল থেকেই বাজার ঊর্ধমুখী ধারায় ফিরবে।সেই সাথে এখন প্রতি নিয়ত একটার পর একটা গুড নিউজ আসতে থাকবে।বিশ্বের সব শেয়ার বাজারেই উত্তান পতন ঘটানোর জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি চক্র থাকে।তারা যখন বাজারে পতন ঘটায় তখন একের পর এক নেতিবাচক নিউজ এসে বাজারকে তলানীতে নিয়ে আসে।তাদের বাই সম্পন্ন হলেই একের পর এক ইতিবাচক নিউজ এসে বাজারকে ঊর্ধমুখী ধারায় নিয়ে সাধারন বিনিয়োগকারীদের মনে আশা জাগায়।শেয়ার বাজারে প্রফিট করার মূল কৌশলই হচ্ছে সাধারন বিনিয়োগকারীদের যত বেশী বোকা বানানো যায় ততই প্রফিট। আজ ব্যাংক এক্সপোজার লিমিট না বাড়িয়ে বিকল্প পদ্বতি বের করায় বাংলাদেশ ব্যাংকে সাধারন বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।এই সিদ্বান্তের ফলে বাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরবে পাশাপাশি প্রতি বছর এই দিনে ব্যাংক এক্সপোজারের নামে যে ধ্বংশযজ্ঞ চলে সেটা স্থায়ীভাবে বন্দ্ব হয়ে যাবে।আইপিও বন্দ্বের সিদ্বান্তটিও ইতিবাচক।তবে এরই মধ্যে সেকেন্ডারী মার্কেটে পুঁজি হারিয়ে নামে বেনামে বিও খোলে অনেকেই প্রাইমারী মার্কেটে চলে গেছেন।আইপিও বন্ধ্ব করলে অনেকেই বিপাকে পড়তে পারে।তাই সেকেন্ডারী মার্কেটে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারলে তারা আবার সেকেন্ডারী মার্কেটে ফিরতে পারেন।অতএব সব কথার শেষ কথা এই যে, আইপিও বন্দ্ব রেখে যদি সেকেন্ডারী মার্কেট ভাল হয়ে যায় তাহলে কারো কোনো ক্ষতি হবে না।কিন্তু আইপিও বন্দ্ব রেখেও যদি সেকেন্ডারী মার্কেটের পতন না থামে তবে শেয়ার ব্যবসায়ীদের না খেয়ে মরতে হবে।কারন গত ৫ বছরে অসংখ্য বিনিয়োগকারী আইপিও নির্ভর হয়ে পড়েছেন।আইপিওর টাকা সেকেন্ডারীতে আসলে যেন তারা ক্ষতিগ্রস্থ না হয় বাজার কর্তৃপক্ষের সেদিকে নজর রাখতে হবে।নতুবা সাধারন বিনিয়োগকারীর আমও যাবে ছালাও যাবে।