ঢাকা : রাজধানীর বনানিতে আত্মহত্যাকারী বিনিয়োগকারী না, তিনি সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইটি বিভাগের প্রধান হুমায়ুন কবির (৫২)। তবে ফেসবুকে এরইমধ্যে শেয়ারবাজারের মন্দায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানীর নিজ অফিসের ১১তলার জানালা দিয়ে লাফিয়ে হুমায়ুন কবির (৫২) আত্নহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কোম্পানিটির দায়িত্বশীলরা বলছেন, হুমায়ুন কবির কিভাবে ১১তলা থেকে নিচে পড়েছেন তা তারা জানেন না। এ বিষয়ে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) একেএম শরিফুল ইসলাম বলেন, হুমায়ুন কবির আমাদের কোম্পানির আইটি বিভাগের প্রধান ছিলেন। ঘটনার সময় তিনি রুমে একা ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছাই। কিন্তু কিভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা আমরা নিশ্চিত না। ফেসবুকে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের গ্রুপে একজন বিনিয়োগকারী বনানীর বিটিআই টাওয়ার থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার গুঞ্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে একেএম শরিফুল ইসলাম বলেন, এটা গুজব। উনি শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারী নয়, সানলাইফের কর্মকর্তা। এদিন দুপুরে বনানীর বিটিআই টাওয়ারে এ ঘটনাটি ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহটি উদ্ধার করে। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুরে বনানী এফআর টাওয়ারের বিপরীতে বিটিআই টাওয়ার ১১ তলায় সানলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির আইটি প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিল হুমায়ূন। অফিসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অফিসের জানালা দিয়ে নিচে লাফিয়ে পড়ে সে। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রাথমিক তদন্তে লাফ দেয়ার পেছনে কারো ইনফ্লুয়েন্স বা প্ররোচনা পাইনি। ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। এ বিষয়ে জানার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান ওসি।
