ডে ট্রেডিং কি ?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে ডে ট্রেডিং হচ্ছে দৈনন্দিন বা প্রতিদিনের লেনদেনকে বোঝায়।যারা ডে ট্রেড করে তাদেরকে ডে ট্রেডার বলে।এখন প্রশ্ন জাগতে পারে কোনো আইটেম তো কেনার পরদিনই ম্যাচুরেট হয় না তাহলে প্রতিদিন কিভাবে কেনা বেচা বা লেনদেন করে! উত্তরটাও খুব সহজ।যারা ডে ট্রেড করে তাদের পোর্টপোলিওর একটা অংশ প্রতিদিনই ম্যাচুরেট থাকে।তাই তারা প্রতিদিনই লেনদেন করতে পারে।এটা কিভাবে সম্ভব! মনে করুন আপনার ২ লাখ টাকা পুজি, রবিবার ১ লাখ টাকার শেয়ার কিনলেন। সোমবার বাকি ১ লাখ টাকার শেয়ার কিনলেন।এখন রবিবারে কেনা শেয়ার মঙলবারে বিক্রি করে অন্য আরেকটি আইটেম এবং সোমবারে কেনা শেয়ার বুধবারে বিক্রি করে বুধবারেই আবার আরেকটি আইটেম বা ওই একই আইটেম বাই ব্যাক করলেন।এভাবে মঙলবারে কেনা শেয়ার বৃহস্পতিবারে এবং বুধবারে কেনা শেয়ার রবিবারে বিক্রি করে আবার বাই ব্যাক করলেন।এই জাতীয় লেনদেনকেই ডে ট্রেডিং বলে।অবশ্য সপ্তাহে একদিন ট্রেড করলে অনেকে এটাকেও ডে ট্রেডিং বলে থাকেন যদিও এটাকে উইকলি ট্রেডিং বলে কিন্তু শেয়ার বাজারে উইকলি ট্রেডিং শব্দটি প্রচলিত না হওয়ায় উইকলি ট্রেডিংকেও সবাই ডে ট্রেডিং বলে।
ডে ট্রেডিং কারা করে
ঃ- ক্ষুদ্র ও বড় যে কোনো ধরনের বিনিয়োগকারী ইচ্ছা করলেই ডে ট্রেডিং করতে পারে এতে কোনো বাধা নেই।তবে শুধু মাত্র শেয়ার বাজারের উপর নির্ভরশীল অধিকাংশ বিনিয়োগকারী ই ডে ট্রেডিংয়ের সাথে যুক্ত রয়েছেন।
ডে ট্রেডিংয়ের উদ্দেশ্য কি
ঃ- ডে ট্রেডিংয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে Profit To Trade ।অর্থ্যাৎ প্রতিটা ট্রেডে অল্প অল্প প্রফিট করে পোর্টপোলিও মেক্সিমাইজ করা।অর্থ্যাৎ শেয়ার বাজারে ট্রেড করে দৈনন্দিন কিছু ইনকাম করা। Watch Day Trade Live Vedio
ডে ট্রেডিংয়ে কারা লাভবান হয়
ঃ- ডে ট্রেডিংয়ে সবচাইতে বেশী লাভবান হয় হাউজ মালিক এবং সরকার।কারন ডে ট্রেডারের লাভ হোক বা লস হোক লেনদেনের একটা চার্জ দিতেই হবে।
এই চার্জ হাউজ মালিক এবং সরকার পায়।এ জন্যই হাউজে ডে ট্রেডারদের কদর বেশী।অর্থ্যাৎ আপনি যদি দৈনিক ৫০ লাখ টাকা লেনদেন করেন তাহলে হাউজে আপনাকে ভিআইপি একটা এসি রুম দিবে।আপনার জন্য একটা কম্পিউটার,একজন ট্রেডার এবং দুপুরের লান্স বরাদ্দ থাকবে।ডে ট্রেডারদের মধ্যে একদল বড় বিনিয়োগকারী আছে যারা এগ্রিসিভ বাই সেল করে প্রতিদিন ৩-৫% প্রফিট করে।বাজার যে রকমই থাকুক আইটেমের উঠানামার রিমোর্ট এদের হাতে থাকায় ওই চক্রটি প্রতিদিন কোনো না কোনো আইটেমে এগ্রিসিভ সেল প্রেসার বাড়িয়ে দিয়ে পতন ঘটিয়ে বাই দেয় এবং সেল দেয়ার সময় এগ্রিসিভ বাই প্রেসার দিয়ে দর বাড়িয়ে সেল দেয়।যদিও একক কোনো আইটেমে এগ্রিসিভ বাই সেল করে প্রভাবিত করা আইন পরিপন্থী কিন্তু এই চক্রটির নামে বেনামে শত শত পোর্টপোলিও থাকায় এরা কর্তৃপক্ষের চোখে ধূলো দিয়ে এই অবৈধ ডে ট্রেডিং করে আসছে।ওই সব বড় ডে ট্রেডার চক্রের এগ্রেসিভ বাই সেলের কারনেই কোনো নির্দিষ্ট আইটেম সকালে দর বাড়লে বিকালেই পড়ে যায়।মনে করুন ডে ট্রেডিংয়ের উদ্দেশ্যে আজ তারা তাদের বিভিন্ন পোর্টপোলিও থেকে কোনো কোম্পানীর ২ লাখ শেয়ার বিক্রি করবে তাহলে ওই চক্রটি সকালে ওই কোম্পানীর ৩০-৪০ হাজার শেয়ার বাই অর্ডার না বসিয়ে ডাইরেক্ট বাই দিয়ে ৪-৫% বাড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের বোকা বানিয় ওই ২ লাখ শেয়ার বিক্রি করবে।আর আজকের কেনা এই ৩০-৪০ হাজার শেয়ার রেখে দিবে যেনো আবার ২-৩ লাখ শেয়ার কেনার সময় এগুলো সেল দিয়ে যেন ওই কোম্পানীর দর পতন ঘটাতে পারে।এভাবেই বড় পুজির অধিকাংশ ডে ট্রেডার সংঘবদ্ব হয়ে এগ্রেসিভ বাই সেল করে প্রতিদিন কিছু না কিছু প্রফিট তুলে নেয়।এছারা ক্ষদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা টেকনিক্যাল এনালাইসিস বোঝেন তারা স্মার্ট ডে ট্রেডিং করে প্রতিদিন কিছু কিছু প্রফিট করার পাশাপাশি নিজের পোর্টপোলিওকে বড় পতন থেকে রক্ষা করতে পারে।কিন্তু বাজার এবং আইটেমের আচরন সম্পর্কে যাদের তেমন ধারনা নেই তারা ডে ট্রেডিং করলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়।তারা ম্যাচুরেট দিনে সামান্য লাভের আশায় সব সময় সকালে টানের আইটেম বাই দেয় ফলে বিকালে অথবা পরদিনই তার কেনা রেট থেকে কমে যায়।হঠাৎ করে সকালে বেড়ে যাওয়া শেয়ারটি বিকালে কমে যাওয়ার একমাত্র কারনই হল বড় ডে ট্রেডারদের এগ্রেসিভ লেনদেন।যা ক্ষুদ্র ডে ট্রেডারদের বোঝার মত টেকনিক্যাল পাওয়ার নেই।
শেয়ার বাজার সম্পর্কিত টিউটোরিয়াল ভিডিও নিয়ে আপনি ঘরে বসেই টেকনিক্যাল এনালাইসিস শিখতে পারেন।আমাদের কাছে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের এনালাইসিস ভিডিও পাওয়া যায়।ভিডিও নিতে ইমেইলে অর্ডার দিতে পারেন।ইমেইল ঃ sktips16@gmail.com