শেয়ার বাজারের চলমান মন্দাভাবের যত গুলো কারন রয়েছে তার মধ্যে ডে ট্রেডিংয়ের অন্যতম কারন।গত এক বছর ধরে বাজারে ডে ট্রেডিংয়ের প্রবনতা বেড়েই চলেছে।ক্ষুদ্র থেকে মাঝারী,বড় এমনকি প্রাতিষ্টানিক বিনিয়োগকারীরাও বর্তমানে ডে ট্রেডিং করে আসছেন।দিন যত যাচ্ছে ডে ট্রেডিংয়ের প্রবনতা ততই বাড়ছে আর ডে ট্রেডিং যত বাড়ছে বাজারে অস্থিরতাও তত বাড়ছে।ক্ষুদ্র বা বড় বিনিয়োগকারীরা ব্যক্তিগত ভাবে ডে ট্রেডিং করলেও ব্যাংক বা মার্চেন্ট ব্যাংক গুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা রক্ষার্তে কোনো কোনো সময় বাধ্য হয়েই ডে ট্রেডিং করতে হচ্ছে।কারন শেয়ার বাজারে ব্যাংক গুলোর বিনিয়োগের লাগাম টেনে ধরতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংক এক্সপোজার লিমিট নামে ব্যাংক গুলোর বিনিয়োগসীমা নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে।ব্যাংক গুলো বাজারে বিনিয়োগের পর যদি তাদের ক্রয়কৃত শেয়ারের দর বেড়ে নির্ধারিত বিনিয়োগ সীমার বাইরে চলে যায় তাহলে বাধ্য হয়েই সেল দিয়ে বিনিয়োগ সীমার ভিতরে আসতে হয়।মনে করুন ব্যাংক এক্সপোজার লিমিটের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো একটি ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা ২৫ লাখ টাকা।এখন ওই ব্যাংকটি ১০০ টাকা মূল্যের কোনো একটি কোম্পানীর ২৫ হাজার শেয়ার ২৫ লাখ টাকা দিয়ে কিনল।১০০ টাকা দরে কেনার ২ দিন পর শেয়ারটির দর বেড়ে ১০৫ টাকা হল।তখন ব্যাংকটি বিনিয়োগ নীতিমালা মানতে হলে বাধ্য হয়েই শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগসীমার ভিতরে আসতে হবে।কারন শেয়ারের প্রফিটের টাকার হিসেবটাকেও বিনিয়োগ সীমার আওতায় রাখা হয়েছে।
অর্থ্যাৎ ১০০ টাকা মূল্যের ২৫ লাখ টাকার শেয়ার যখন ১০৫ টাকা হবে তখন বিনিয়োগ ধরা হবে ২৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা।অতএব ব্যাংক এস্কপোজার লিমিট তথা বিনিয়োগ সীমার ভিতরে আসতে ওই ব্যাংকটি কমপক্ষে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার বিক্রি করতে হবে।ফলে নীতিমালা মানতে ব্যাংক গুলো বাধ্য হয়েই ডে ট্রেডিং করতে হচ্ছে।ব্যাংক গুলোকে ডে ট্রেডিংয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে ব্যাংক এক্সপোজার নীতিমালা।প্রফিট হলে ব্যাংক এক্সপোজার লিমিট ক্রস করলে সেল দিয়ে লিমিটের ভিতরে আসতে হয়ে কিন্তু লস হলে কি হবে এবার আসি সেই দিকে।সবচেয়ে মজার ব্যপার হল মনে করেন কোনো ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট ২৫ লাখ টাকা।২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করার পর ৫ লাখ টাকা লস হয়ে বিনিয়োগ ২০ লাখে নেমে গেল কিন্তু ব্যাংক এক্সপোজার লিমিট নীতিমালায় ওই ব্যাংকের বিনিয়োগ ২৫ লাখই ধরা হবে ফলে লস হলেও আর Invest করে এভারেজ করতে পারবে না।ফলে কি দাড়ালো! প্রফিট হয়ে এক্সপোজার লিমিটের বাইরে গেলে সেল বাধ্যতা মূলক কিন্তু লস হয়ে এক্সপোজার লিমিটের নীচে আসলে আর বাই দেয়ার সুযোগ নেই।এটাই হচ্ছে আমাদের সদ্য বিদায়ী আতিক স্যারের সাফল্য।পরের পোষ্টে ডে ট্রেডিংয়ের সুফল ও কুফল নিয়ে আলোচনা করব।