বাজার বিশ্লেষণ :- সপ্তাহের প্রথমদিন রবিবার দেশের শেয়ার বাজার উত্থান দিয়ে শুরু হয়ে উত্থানেই শেষ হয়েছে। এনিয়ে ইনডেক্স টানা তিন কার্যদিবস বৃদ্ধি পেয়েছে। রবিবার ইনডেক্সের সাথে পাল্লা দিয়ে লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে পাশাপাশি লেনদেনের সাথে পাল্লা দিয়ে অধিকাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। শুধু তাই নয়, গত দুদিন যেসব কোম্পানির দর বেড়েছিল ইনডেক্স আপ রেখেই ওইসব কোম্পানির অধিকাংশ গতকাল রবিবার কারেকশন হয়েছে যা স্বাভাবিক বাজারের লক্ষণ।
যেসব কোম্পানি গত দুদিন তেমন বৃদ্ধি পায়নি সেসব কোম্পানি ঘুরে দাঁড়ানো এবং যেসব কোম্পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল সেগুলো কারেকশন হওয়া বিনিয়োগকারীদের অতিসচেতনতারও নমুনা বলা যায়। গত তিন কার্যদিবসের বাজারের আচরণ বিশ্লেষণ করলে এটুকু অনুমান করা যায় যে, আজকে যে কোম্পানি গুলোর দর কারেকশন হচ্ছে আগামীতে সেগুলো আপট্রেন্ডে যেতে পারে এবং আজ যেগুলোর দর বেড়েছে সামনে সেগুলো কারেকশন হতে পারে। সুতরাং এমন স্বাভাবিক বাজারে কারেকশন হলে যেমন হতাশ হওয়ার কিছু নেই,দর বাড়লেও আরো বেশী প্রফিটের আশা করে উৎফুল্ল হওয়ার কিছু নেই।কেননা কোম্পানি গুলোর দর যত বাড়ছে নেটিং প্রবনতার কারণে ওই কোম্পানির আপট্রেন্ড ততই দুর্বল হয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় বেড়ে যাওয়া কোম্পানি থেকে সময় মত প্রফিট তুলে নিয়ে কমে যাওয়া কোম্পানিতে নতুন এন্ট্রি দেয়াই উত্তম হতে পারে। অধিকাংশ বিনিয়োগকারী এমনটা করছেন বলেই ইনডেক্স আগের মত অস্বাভাবিক বাড়ছেও না আবার কমছেও না, পাশাপাশি প্রফিট টেকিংয়ের বাই সেল করার কারণে বাজারে তুলনামূলক লেনদেনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল বেলার সূর্য দেখলে যেমন বলা যায় দিনটি কেমন যাবে তেমনি সপ্তাহের প্রথম দিনের বাজার দেখলেই বোঝা যায় সপ্তাহটি কেমন যাবে। সুতরাং আশা করা যায় চলতি সপ্তাহে বাজার স্বাভাবিক আচরণ করবে। এমন স্বাভাবিক বাজারে বুদ্ধিমত্তার সাথে ট্রেডিং বিচরণ করতে পারলে ভাল মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে। রবিবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্সটি ৫৮৪১.১৯ পয়েন্টে ওপেন হয়ে দিনের সর্বোচ্চ ৫৮৮৮.১৭ পয়েন্টে উঠে এবং দিনশেষে আগের দিনের চেয়ে ২৪.১৯ পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে ক্লোজ হয়েছে ৫৮৬৫.৩৮ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া কোম্পানী গুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৪,কমেছে ১৩৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৬ টি কোম্পানীর শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর। বাজারের সর্বশেষ Rsi 59.09, Mfi 57.51, CCI 117.49 এবং ASI -443.08।