শেয়ার বাজার কখনো আনন্দময় আবার কখনো বেদনা দায়ক।পরিস্থিতি বোঝে দুটাকেই সামাল দিতে হয়।যখন ইনডেক্স এবং আইটেম গুলো উত্তান ঘটে আনন্দ দেয় তখন বেদনার প্রস্তুতি নিয়ে পতনের জন্য প্রহর গুনতে হয়।ঠিক তেমনি মার্কেট যখন পতনে যায় তখন মানুষিকভাবে ভেঙ্গে না পড়ে আনন্দের প্রস্তুতি নিয়ে উত্তানের অপেক্ষা করতে হয়।প্রতিদিন অসংখ্য বিনিয়োগকারী আমাকে অনুরোধ করেন বাজার পূর্বাবাস দেয়ার জন্য।দুঃখিত! শিরোনাম দিয়ে সরাসরি বাজার পূর্বাবাস পোষ্ট করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।কারন ইনডেক্সের বা কোনো আইটেমের অগ্রিম পূর্বাবাস দেয়া একদিকে সিকিউরিটিজ আইন পরিপন্থী অন্যদিকে সাইবার ক্রাইম।বাজার পূর্বাবাস বা আইটেমের পূর্বাবাস দিয়ে হাত তালি করতালি বাহবা পাওয়ার জন্য আইন পরিপন্থি কাজ করা অন্তত পক্ষে আমার দ্বারা সম্ভব না।যারা ফেসবুক সহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে মার্কেট বা কোনো নির্দিষ্ট আইটেমে ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কিছু লিখে তাদেরকে আইনে ধরে না ধরতেছে না ধরলে পড়ে ছাড়বে না।তবে আইনের প্রতি শ্রদ্বা রেখে প্রকাশ্যে পূর্বাবাস না দিলেও প্রতিদিন ট্রেড আওয়ারের শেষে চার্ট এনালাইসিস করে যে মার্কেট রিভিও দিয়েছি তাতে চার্টের সাপোর্ট এবং রেজিষ্টেন্সের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাজারের বর্তমান পরিস্থিতির ইংঙ্গিত দিয়েছি।যেমন গত ২১ তারিখে মার্কেট কোনদিকে যাচ্ছে, ২২ তারিখে অস্থিরতার অবসান ঘটেনি ইনডেক্স কি সাপোর্ট লেভেল খুজছে এবং ২৫ তারিখে ইনডেক্সের লুকুচুরী খেলা শিরোনামে যে কয়টা পোষ্ট করেছি প্রত্যেকটা পোষ্টেই বাজার ডাউন তথা সাপোর্ট লেভেলে নেমে আসার ইংঙ্গিত ছিল।আজ ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ওপেন হয় ৪৫৬৭.৫৭ পয়েন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ উঠে ৪৫৭৯.৫৬ পয়েন্টে সর্বনিন্ম নামে ৪৫৩৪.৪ পয়েন্টে দিনশেষে ৩০.৭৩ পয়েন্ট হারিয়ে ক্লোজ হয় ৪৫৩৬.৮৪ পয়েন্টে।লেনদেন হয়েছে ৪২৪ কোটি টাকা।মার্কেট বর্তমানে সাপোর্ট লেভেল থেকে ১৬ পয়েন্ট দূরে আছে।অর্থ্যাৎ ইনডেক্সের সাপোর্ট লেভেল ৪৫২০ পয়েন্টে।এখান থেকে মার্কেট ঘুরে দাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।যদি ঘটনা ক্রমে সাপোর্ট ভেঙ্গে ৪৫২০ এর নীচে ক্লোজ হয় তাহলে পরবর্তী সাপোর্ট ৪৩৮০ পয়েন্টে।মার্কেটের বর্তমান আরএসআই ৩৬.০৩।