গত ৫ বছরে উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে নানা পরিবর্তন হয়েছে।প্রান চাঞ্চল্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য ঊর্ধনতন কর্মকর্তাদের রদ বদল করে অনেক সেক্টরকেই ঢেলে সাজানো হয়েছে।এরই ধারাবাহিকতায় শেয়ার বাজারেও দীর্ঘ মেয়াদী স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য গত ৫ বছরে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ডিজিটাল পদ্বতি সহ নিয়মনীতির বিভিন্ন পরিবর্তন করা হয়েছে।প্রতিটা সিষ্টেম চালু করার সময় কর্তা ব্যক্তিরা জোড়ালো বক্তব্য দিয়েছেন যে,এবার শেয়ার বাজারে অনেক উন্নয়ন হয়েছে,এই সিষ্টেমের ফলে বাজারে দীর্ঘ মেয়াদী স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।তাদের ওইসব উন্নয়নের বক্তব্যের কারনে যারা বাজার ছেড়ে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তাদের মনে আশার সঞ্চার হওয়ায় তারা উন্নয়নের অপেক্ষায় আরেকটু ধৈর্য্য ধরলেন।কিন্তু ধৈর্যেরও তো একটা সীমা আছে!! এ বাজারে ধৈর্য্য ধরাটাও যেন পাপ! গত ৫ বছর ধরে বিনিয়োগকারীরা কর্তা ব্যক্তিদের মুখে শুধু বাজার উন্নয়নের বক্তব্যই শুনে আসছেন।কাগজে কলমে হয়তঃ অনেক উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু বাজারের বাস্তব চিত্রে উন্নয়নের উ অক্ষরটি খুজে পাওয়া যায়নি।সাধারন বিনিয়োগকারীরা আর কত নিঃস্ব হলে উন্নয়নের উ অক্ষরটি বাজারে দেখা যাবে!
মানুষ যেহেতু চিরকাল বেচে থাকে না সেহেতু বাজারও চিরকাল এরকম থাকবে না।একদিন বাজার ভাল হবে তবে সেইদিন হয়তঃবাজারের বর্তমান কর্তাব্যক্তিরাও থাকবেন না পাশাপাশি বর্তমানে হাহাকার করা সাধারন বিনিয়োগকারীরাও থাকবেন না।অবাক ব্যপার হল উন্নয়নের লক্ষে দেশের গুরুত্বপূর্ন সেক্টর গুলোতে যেখানে ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের রদ বদল করা হচ্ছে সেখানে শেয়ার বাজারের এত ব্যর্থতার পরেও বাজারের প্রশাসনে কোনো পরিবর্তন নেই।বাজারকে আর কত ধ্বংশ করলে বাজার কর্তৃপক্ষ রদবদল হবে! আমাদের সাধারন বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বড় পাপ হচ্ছে, তারা যতই মাইর খাচ্ছে ততই বাই দিচ্ছে! তাদের এই বাই দেয়ার কারনে বাজার এত খারাপ থাকা সত্বেও সব কোম্পানীরই বায়ার আছে।মার্কেট সারা বছর নেগেটিভ থাকলেও সব কোম্পানীর বায়ার যতদিন থাকবে কর্তৃপক্ষরা বাজারকে ভালই বলবে।কারন বায়ার যতদিন থাকবে কর্তৃপক্ষের কোনো লস নেই তারা কমিশন পেয়েই যাবে।যারা বাজার পরিচালনা করে বসে বসে বাই সেলের কমিশন পায় তারা বাজারকে খারাপ বলবেইবা কোন যুক্তিতে।কেননা সাধার বিনিয়োগকারীরা বাই সেল করে নি:স্ব হয়ে মরে গেলেও তাদের কমিশন ঠিকই আছে!